সেই মুসলিম কে?

সেই মুসলিম কে?

المُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ

মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে।

এই হাদীসের শিক্ষা, কামিল মুসলিম হতে হলে কথা ও কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমন কোনো অন্যায় কথা বলা যাবে না, যার দ্বারা কেউ কষ্ট পায়, তেমনি এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা কারো কষ্টের কারণ হয়। এটি এমন এক মূলনীতি, যা আমাদের সামষ্টিক জীবনের অসংখ্য ক্ষেত্রে অনুসরণীয়। আর যে ক্ষেত্রেই এই মূলনীতি অনুসরণ করা হবে সেখানেই শান্তি ও রহমত আসবে।

আমরা যদি পারিবারিক জীবনে এই মূলনীতি অনুসরণ করি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’, তাহলে আমাদের পারিবারিক জীবন অনেক শান্তিময় হবে।

আমরা যদি আমাদের কর্মস্থলে এই মূলনীতি অনুসরণ করি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’, তাহলে আমাদের কর্মস্থল শান্তিময় হবে।

আমাদের লেনদেনের জন্য মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের রাস্তা-ঘাটে চলাচলের মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের পর্ব-উৎসবের ক্ষেত্রে মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের আইন-আদালতের ক্ষেত্রে মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা, অধ্যয়ন-অধ্যাপনার ক্ষেত্রে মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

আমাদের সাহিত্য-সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মূলনীতি- ‘মুসলিম সে, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমেরা নিরাপদ থাকে’।

চিন্তা করলে দেখা যাবে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে এই মূলনীতি প্রযোজ্য এবং এই মূলনীতির অনুসরণ আমাদের কথা ও কাজে এনে দিতে পারে এক ভিন্ন মাত্রা। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে নিয়ে যেতে পারে এক অনন্য উচ্চতায়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বাবা-সন্তানের সম্পর্ক, শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক, কর্তা-কর্মচারীর সম্পর্ক, সঙ্গী-সহকর্মী সম্পর্ক, পাড়া-পড়শি সম্পর্ক, আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্ক ইত্যাদি সকল সম্পর্কে এনে দিতে পারে আলাদা স্থিতি ও মাধুর্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *