আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর নসীহত

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন তাঁর প্রিয় সাহাবীকে উপদেশ দিয়েছেন তেমনি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-ও তাঁর সাথে সংশ্লিষ্টদের নসীহত করেছেন।
“দ্বীনের ক্ষেত্রে পরস্পর নসীহত ও কল্যাণকামিতার ধারা অব্যাহত থাকা উচিত।”
ইবনে ওমর রা.-এর উপদেশের মর্মবাণীও হচ্ছে, দুনিয়ার বিষয়ে নির্মোহ হওয়া এবং পার্থিব ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রত্যাশা ত্যাগ করা।
إِذَا أَمْسَيْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الصّبَاحَ، وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ المَسَاءَ.
‘সন্ধ্যায় উপনীত হলে সকালের অপেক্ষা কোরো না, আর সকালে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা কোরো না।’ অর্থাৎ পার্থিব ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রত্যাশা ত্যাগ কর আর আখিরাতের সঞ্চয় যথাসম্ভব দ্রুত অর্জন কর।
পার্থিব আয়-উপার্জন ইত্যাদির ক্ষেত্রে লম্বা লম্বা প্রত্যাশা ত্যাগ করার ক্ষেত্রে এ সত্যের উপলব্ধি খুবই কার্যকর যে, দুনিয়ার জীবন অতি ক্ষণস্থায়ী। যে কোনো সময় মৃত্যু এসে হাজির হয়ে যেতে পারে। কাজেই পার্থিব ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রত্যাশার জালে জড়িয়ে যাওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব পার্থিব ক্ষেত্রে ঝামেলা কমিয়ে আখিরাতের সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করাই বাঞ্ছনীয়।
Leave a Reply