কিয়ামতের দিন যে চারটি প্রশ্ন এর উত্তর ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবে না

আল্লাহ তাআলা যত নিআমত দিয়েছেন সবকিছুর জন্যেই আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। হিসাব দিতে হবে, এসব বিষয় কী কাজে, কোন্ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে! কুরআন মাজীদের ঘোষণা-
ثُمَّ لَتُسْـَٔلُنَّ یَوْمَىِٕذٍ عَنِ النَّعِیْمِ.
অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদেরকে নিআমতরাজি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। -সূরা তাকাসুর (১০২) : ৮
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা প্রশ্ন করবেন, আমি দুনিয়াতে যাহেরী ও বাতেনী, দৈহিক ও আত্মিক এবং ছোট ও বড় যেসব নিআমত তোমাদেরকে দান করেছিলাম তোমরা এর কী হক আদায় করেছিলে? নিআমতদাতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কতটুকু চেষ্টা করেছিলে?
আরেক আয়াতের বর্ণনা-
اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓىِٕكَ كَانَ عَنْهُ مَسْـُٔوْلًا.
নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তর এর প্রতিটি সম্পর্কে (তোমাদের) জিজ্ঞেস করা হবে। -সূরা বনী ইসরাঈন (১৭) : ৩৬
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
لاَ تَزُولُ قَدَمَا عَبْدٍ يَوْمَ القِيَامَةِ حَتّى يُسْأَلَ عَنْ عُمُرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ، وَعَنْ عِلْمِهِ فِيمَ فَعَلَ، وَعَنْ مَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ، وَعَنْ جِسْمِهِ فِيمَ أَبْلاَهُ.
কিয়ামতের দিন কোনো বান্দার পা ততক্ষণ পর্যন্ত নড়তে পারবে না, যতক্ষণ না তাকে (চারটি বিষয়ে) প্রশ্ন করা হবে, (এবং সে সেগুলোর যথাযত জবাব দেবে) ১. তার জীবন কোন্ কাজে ব্যয় করেছে। ২. তার ইলম অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে। ৩. তার সম্পদ কীভাবে অর্জন করেছে, আর কোন্ পথে খরচ করেছে। ৪. এবং তার শরীর (দৈহিক শক্তি) কোন্ কাজে নিঃশেষ করেছে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৫৮৪
সুতরাং যে যত বেশি নিআমতের অধিকারী তার দায়িত্ব তত বেশি, তার জবাবদিহি তত কঠিন। তাই সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও অর্থ-বিত্তের প্রাচুর্যে উল্লসিত হওয়ার সুযোগ নেই।
Leave a Reply