হাঁ, এটা হল মৃত্যুর বাহ্যিক চিত্র।

হাঁ, এটা হল মৃত্যুর বাহ্যিক চিত্র।

দুনিয়ার সকল শখ-আহ্লাদ এই ক্ষণস্থায়ী জীবন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

দেহ থেকে যখন প্রাণপাখি উড়ে যাবে তখন ভোগ উপভোগের সকল উপকরণ এবং আনন্দ-বিনোদনের সকল সরঞ্জাম একদিকে পড়ে থাকবে। চোখদুটো বন্ধ হতে না হতেই পার্থিব সকল সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। দেখতে দেখতে তাকে খালি হাতে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে।

যে প্রিয়তমা স্ত্রীর মনোরঞ্জনে দ্বীন-ঈমান খোয়াল, যে সন্তানের আহ্লাদ পূরণ করতে গিয়ে আখেরাত বিসর্জন দিল, যে আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের লাজ রক্ষায় নিজের পরিণাম ভুলে বসল তখন এদের কাউকে আর সঙ্গ দিতে দেখা যাবে না। পাবে না পাশে সঞ্চিত ধন-সম্পদ, অর্থ-কড়ি ও অট্টালিকা। সাড়ে তিন হাতের সেই সঙ্কীর্ণ গহ্বরেই হবে তার ঠাঁই। সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ-একা।

তারপর? তারপর পরম যত্নেগড়া পরিপুষ্ট সেই দেহটি খাদ্য হবে পোকা-মাকড়ের। যেই দেহ নির্মাণ ও সজ্জায়নের জন্য ছিল তার রাত-দিনের মেহনত; দু’দিনের মধ্যেই তা পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাবে।

হাঁ, এটা হল মৃত্যুর বাহ্যিক চিত্র।

ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়া নিয়ে বিভোর থাকা এবং আখেরাত থেকে উদাসীন হয়ে জীবন যাপন করার কারণ এটিই যে, মৃত্যু ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের চিত্র দৃষ্টির আড়াল হয়ে থাকা।

মৃত্যু ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের চিত্র যদি সামনে থাকত তাহলে আমাদের গাফলতের ঘোর কেটে যেত। দুনিয়া আমাদেরকে তখন আর ধোঁকায় ফেলতে পারত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *