মসজিদে শিশুদের প্রতি রাসুল সা.

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদের চাহিদা ও অনুরাগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করতেন।
আদর-সোহাগ করে তাদের কাঁধে উঠাতেন। এবং তাদের শিশুসুলভ আচরণকে সহাস্যবদনে বরণ করে নিতেন।
শাদ্দাদ ইবনুল হাদ রা. বর্ণনা করেন- একদা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান বা হুসাইনকে কোলে নিয়ে মাগরিব বা ইশার নামাযের উদ্দেশে বের হলেন। তাকে পাশে রেখে তিনি সামনে অগ্রসর হলেন এবং তাকবীর বলে নামায শুরু করলেন। নামাযের মাঝখানে একটি সিজদা খুব লম্বা করলেন।
আমি মাথা উঠালাম। দেখি, তিনি সিজদায়, আর শিশুটি তার পিঠে! আমি আবার সিজদায় চলে গেলাম।
নামায শেষ হলে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নামাযের মধ্যে একটি সিজদা অনেক দীর্ঘ করলেন! আমাদের তো আশঙ্কা হচ্ছিল- কোনো দুর্ঘটনা ঘটল না তো! বা ভাবছিলাম, আপনার প্রতি কোনো ওহী নাযিল হল! নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
كُلّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ وَلَكِنّ ابْنِي ارْتَحَلَنِي فَكَرِهْتُ أَنْ أُعَجِّلَهُ حَتّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ.
এগুলোর কোনোটিই ঘটেনি; বরং আমার এই ছেলে (নাতি) আমার উপর সওয়ার হয়েছে। আমার পছন্দ হল না- তার (শিশুমনের) ইচ্ছেটুকু পূরণ হওয়ার আগে তাকে সরিয়ে দিই।
-সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১১৪১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৩২৮৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬০৩৩
Leave a Reply