শিশুর মধ্যে উন্নত গুণাবলির বিকাশ ঘটানোর সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নসীহতগুলোর দিকে গভীর দৃষ্টি দিলে বোঝা যায়,
শিশুর জীবন গঠনের জন্য তিনি যে বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন তা হল আল্লাহর সাথে শিশুর সম্পর্ক কায়েম করে দেওয়া।
শিশুর জীবন সরল পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য এর চেয়ে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি আর কী হতে পারে!
শিশুকে বিভিন্ন উপলক্ষে আল্লাহ তাআলার কথা স্মরণ করিয়ে দিন।
সুস্বাদু ফল খাওয়ার পর বলুন, আব্বু! দেখেছ, আল্লাহ আমাদের জন্য কী মিষ্টি ফল সৃষ্টি করেছেন! মজাদার খাবার গ্রহণের পর বলুন, বাবা! আমরা যদি নামায পড়ি, কুরআন শিখি, আল্লাহর হুকুম মেনে চলি তাহলে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে আমাদেরকে এর চাইতেও বেশি মজাদার খাবার দান করবেন।
শিশুর মাঝে সৎ স্বভাব জাগ্রত করতে তাকে বলুন সত্য কথা বল, আল্লাহ খুশি হবেন। মানুষের খেদমত কর, আল্লাহ খুশি হয়ে জান্নাত দান করবেন।
মন্দ স্বভাব থেকে পবিত্র করার ক্ষেত্রে বলতে পারেন মিথ্যা বল না, কারণ আল্লাহ মিথ্যুককে পছন্দ করেন না। ঝগড়া-বিবাদ কোরো না, তাহলে আল্লাহ নারায হবেন।
সন্তান কোনো ভালো কাজ করলে, তাকে বলুন, মাশাআল্লাহ, তুমি একটা ভালো কাজ করেছ। আল্লাহ তোমার প্রতি অনেক খুশি হয়েছেন; যারা ভালো কাজ করে আল্লাহ তাদের খুব ভালবাসেন। কোনো মন্দ কিছু করলে বলতে পারেন না, এমন আর করবে না, এতে আল্লাহ তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন।
এভাবে তার মনে আল্লাহর প্রতি ভয় ও ভালবাসা সৃষ্টির চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করা যায়, সন্তান সাচ্চা মুমিন ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সন্তানদের আপনার প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করুন। তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালনের তাওফীক দান করুন, আমীন।
Leave a Reply