“ছবি ভিডিও ’র শরয়ী বিধান” বইটি কেন পড়বেন?

ছবি ভিডিও ’র শরয়ী বিধান

মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ। মুসলিম উম্মাহ র ক্রান্তিকালের এক কাণ্ডারীর নাম। শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। বর্তমান সময়ের এক আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব।

শাহ আবরারুল হক রহ. এর সুযোগ্য খলিফা। ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান রহ. এর স্নেহধন্য আলেম। আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি’র সাগরেদ ও সুযোগ্য উত্তরসূরি। আধ্যাত্মিক সাধক। আধুনিকতার বন্যায় ভাসমান মুসলিম মিল্লাতের পথ পদর্শক। হক ও বাতিলের রনময়দানের এক লড়াকু সৈনিক-আল্লামা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।

হযরতের দীর্ঘ সাধনার এক উজ্জ্‌বল প্রতিচ্ছবি, চূড়ান্ত গবেষণার এক প্রামাণ্য রচনা- ছবি ভিডিও র শরয়ী বিধান নামক গ্রন্থ।

আধুনিকতার চাদরে মোড়ানো বিশ্ব। যান্ত্রিক যুগের আলতা রাঙ্গা সমাজ। হক ও বাতিলের বিভেদহীনতায় নিমজ্জিত জাতি। আচার অনাচারে থাবায় ক্ষত-বিক্ষত ধর্ম। এক কথায় মহা বিপর্যন্ত এক ক্রান্তিকাল চলছে।

এ যান্ত্রিক যুগের ক্রান্তিকালে ছবি বা ভিডিও’র ব্যপারে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় জাতি আজ মহা বির্পযয়ের মুখে। ছবি ও ভিডিও এর অবাধ ব্যবহার চলছে সাড়া পৃথিবীতে। পবিত্র কুরআনের কোথাও ছবি বা ভিডিও-র বৈধতা নেই। নেই হাদিসেও। অসংখ্য হাদিসে রয়েছে এর অবৈধতার প্রমান। রয়েছে এর ব্যাপারে কঠিন নিষেজ্ঞা ও অশুভ পরিণতির কথা।

সাহাবি, তাবেয়ি ও আয়িম্মাদের কারও কাছ থেকেই এর বৈধতার প্রমাণ নেই। এত স্পষ্টতার পরেও এক শ্রেণির লোক এর বৈধতার দিকে ধাবিত। এর কারণ কী?

আসলে বাস্তবতা হলো, আধুনিকাতার যান্ত্রিক আবহে ছবি ও ভিডিও ধারণের পথ ও পদ্ধতির মাঝে এসেছে বৈচিত্র্য। হয়েছে ডিজিটালাইজেশন। ফলে ছবি ও ভিডিও কখন কতটুকু কিভাবে বৈধ আর কখন কতটুকু অবৈধ ও হারাম তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিজ্ঞজনদের কাছেও মতদ্বন্দ্ব।

আসলে আধুনিকতায় গা ভাসিয়ে ছবি ভিডিও সেলফি ইত্যাদির দিকে বেপরোয়া অবাধ প্রবেশ মোটেও জাতির জন্য কল্যাণকর নয় এ ব্যপারে মনে হয় হাদিস কুরআনই যথেষ্ট। বাকি হাদিস কুরআনে ভিত্তিতে গবেষণার বিষয় থেকে যাচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি বা অবর্তমান অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে শরিয়তের সীমারেখার ভেতরে থেকে কতটুকু ছবি বা ভিডিওর বৈধতা থাকতে পারে।

বিষয়টি জাতির কাছে স্পষ্ট না হলে বিজাতীয় কৃষ্টি কালচারের সাথে একাকার হয়ে মুসলিম জাতির আচার আচরণ দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ছবি ভিডিওর আবাধ ব্যবহার আমাকে যেকোন সময় শরিয়তের সীমানা থেকে বের করে দিতে পারে। বিষয়টি খুবই জটিল ও স্পর্ষকাতর।

মাওলানা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ রচিত ছবি ভিডিওর শরয়ি বিধান বইটি মন্থন করে যা পেলাম এতে বুঝতে পারছি-এ বিষয়ে জাতিকে ধুম্রজাল থেকে বের করে দিবালোকে পৌঁছে দিতে বইটি দারুন ভূমিকা পালন করতে পারে।

📙 ‘ছবি ভিডিও ’র শরয়ী বিধান‘ অবলম্বনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *