যারা থাকবেন সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে।

মুমিন হিসাবে সকলের কর্তব্য হচ্ছে সহীহ শুদ্ধভাবে উত্তমরূপে কুরআন কারীম তিলাওয়াত করা। আর এর রয়েছে অনেক বড় ফযীলতও।
আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ، وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقّ، لَهُ أَجْرَانِ.
যারা উত্তমরূপে কুরআন পড়বে তারা থাকবে অনুগত সম্মানিত ফিরিশতাদের সাথে। আর যে কুরআন পড়তে গিয়ে আটকে আটকে যায় এবং কষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৯৮
নবীজীর এ হাদীসটি একদিকে যেভাবে তিলাওয়াতে পারদর্শী ব্যক্তিদের জন্য সুসংবাদ প্রদানকারী তেমনি কুরআন পড়তে যাদের কষ্ট হয়, মুখে আটকে আটকে যায়, তাদের জন্যও এ বাণী আশা সঞ্চারক এবং উৎসাহব্যঞ্জক।
এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দ্বিগুণ সওয়াব। তিলাওয়াতের সওয়াব এবং তিলাওয়াতের জন্য যে কষ্ট হয় সেই কষ্টের সওয়াব। তাই যারা এখনো সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত শিখিনি, সাবলীল তিলাওয়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠিনি, তাদের হতোদ্যম হওয়ার কিছু নেই।
আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করে এবং দ্বিগুণ সওয়াব প্রাপ্তির আশায় মেহনত ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর এভাবে চেষ্টা করতে করতে যখন তিলাওয়াত সাবলীল হয়ে যাবে তখন তো কথাই নেই- আল্লাহর নেককার ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে, ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply