অন্যকে ক্ষমা কর, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন

অন্যকে ক্ষমা কর, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন

কিয়ামতের দিন বান্দার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন- আল্লাহর ক্ষমা। আল্লাহ যদি মাফ করে দেন, বান্দার আর কোনো চিন্তা নেই।

তো বিশেষ কী আমল করলে বান্দা কাল কিয়ামতের কঠিন মুহূর্তে রাব্বে কারীমের ক্ষমা লাভ করতে পারে? কত আমলের কথাই তো আমরা জানি, কত আমলই তো আমরা করি; যাতে ক্ষমা পাই রাব্বে কারীমের! কিন্তু কোন্ আমলটি সবচেয়ে উত্তম, যার মাধ্যমে ক্ষমা লাভের আশা প্রবল?

হাঁ, একটি অতি কার্যকর আমল আছে, যার মাধ্যমে আশা করা যায়- বান্দাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। আরবীতে একটি কথা আছে- ‘আলজাযাউ মিন জিনসিল আমাল’, অর্থাৎ ‘কর্ম যা, প্রতিদানও তার মাধ্যমে’। সুতরাং ক্ষমা করাই ক্ষমা লাভের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও কার্যকরী উপায়। আমি যদি মানুষকে ক্ষমা করে দিই, তো আশা করা যায়- এর প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাঁর ক্ষমার প্রতি ধাবিত হওয়ার আহ্বান করেছেন; সেখানে ক্ষমা লাভকারীদের যে গুণাবলি উল্লেখ করা হয়েছে তার অন্যতম প্রধান হল, মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া। ইরশাদ হয়েছে-

وَ سَارِعُوْۤا اِلٰی مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَ جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ اُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِیْنَ، الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ فِی السَّرَّآءِ وَ الضَّرَّآءِ وَ الْكٰظِمِیْنَ الْغَیْظَ وَ الْعَافِیْنَ عَنِ النَّاسِ، وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُحْسِنِیْنَ.

তোমরা ধাবমান হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে, যার বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের ন্যায়। যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য; যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং ‘মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল’। আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের ভালবাসেন।

-সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৩৩-১৩৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

ارْحَمُوا تُرْحَمُوا، وَاغْفِرُوا يَغْفِرِ اللهُ لَكُمْ.

তোমরা (অন্যের প্রতি) দয়া কর, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে। তোমরা (অন্যকে) ক্ষমা কর, তোমাদেরকে ক্ষমা করা হবে।

-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭০৪১; আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *