যে সূরার সুপারিশে ক্ষমা লাভ হয়

সূরা মুলক। ঊনত্রিশ নাম্বার পারার প্রথম সূরা। সূরা নাম্বার ৬৭। জীবনের উদ্দেশ্য, আল্লাহর কুদরত ও নিআমতের স্মরণ, আখেরাতে জাহান্নামীদের অবস্থা ও তাদের আক্ষেপ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে এ সূরাটিতে।
অনেক ফযীলত সম্বলিত সূরা এটি। এ সূরাকে বলা হয়, ‘মানেআ’-বাধাদানকারী, প্রতিবন্ধক। এ সূরাটি আমলকারীর জন্য কবরের আযাব থেকে প্রতিবন্ধক হবে। সুপারিশ করে বান্দাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, জাহান্নাম থেকে প্রতিবন্ধক হবে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরাটি তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। জাবের রা. বলেন-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ لَا يَنَامُ حَتّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ السّجْدَةَ، وَتَبَارَكَ الّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ লাম মীম তানযীল আসসাজদা (সূরা সাজদাহ) ও তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মুলক)- এ দুই সূরা তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৪৬৫৯; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৫৪৫
অন্যান্য ফযীলতের সাথে সাথে এ সূরার একটি বিশেষ ফযীলত হল, এ সূরার আমলের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ হয়। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّ سُورَةً مِنَ القُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ
কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে, তা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছে ফলে আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সূরাটি হল, তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক-সূরা মুলক।
-জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮৯১; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৮৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৯৭৫
Leave a Reply