থাক বার্ধক্যের সাদা চুল, গোনাহ মাফ হোক

থাক বার্ধক্যের সাদা চুল গোনাহ মাফ হোক

প্রতিটি মানুষই চায়- চির যুবক থাকতে। কিন্তু তা তো আর সম্ভব না এই দুনিয়াতে। একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ভাটা পড়ে যৌবনে।
উকিঝুঁকি দেয় বার্ধক্য। সর্বপ্রথম বার্ধক্যের যে আলামত প্রকাশিত হয় তা হল, চুল পাকা। দু-একটি করে চুল সাদা হতে থাকে। এ যেন বার্ধক্যের ‘হোয়াইট সিগনাল’- আসছে বার্ধক্য; প্রস্তুত হও…!

এতদিনের যুবক তখন আগত বার্ধক্য মানতে চায় না; স্বীকার করতে চায় না- সে বার্ধক্যে পা রাখতে চলেছে। তখন সে চেষ্টা করে আড়াল করতে; সাদা চুল কালো করে কিংবা সমুলে উপড়ে ফেলে। কিন্তু কী লাভ তাতে! বার্ধক্য তো আর বাধাপ্রাপ্ত হয় না এতে।

যাইহোক, মুসলিমের এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। মুসলিম বাস্তবতাকে মেনে নেবে এবং আখেরাতের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেবে। আগত বার্ধক্যের সাদা চুলের উপর সবর করবে এবং সওয়াবের আশা রাখবে। এ চুল উপড়ে ফেলবে না।

কারণ, সে নবীজীর হাদীস শুনেছে-

نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ عَنْ نَتْفِ الشّيْبِ، وَقَالَ: هُوَ نُورُ الْمُؤْمِنِ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্ধক্যের সাদা চুল উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। এবং বলেছেন- এ হল ‘মুমিনের নূর’। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৯৩৭)

নূর বলতে- কিয়ামতের দিন তা নূর হবে, যেদিন নূরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমর ইবনে আবাসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الإِسْلَامِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ القِيَامَةِ.

মুসলিম অবস্থায় যার কোনো চুল বা দাড়ি পাকবে, কিয়ামতের দিন তা ঐ ব্যক্তির জন্য নূর হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬৩৪

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেছেন-

مَا شَابَ رَجُلٌ فِي الْإِسْلَامِ شَيْبَةً، إِلّا رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، وَمُحِيَتْ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةٌ، وَكُتِبَتْ لَهُ بِهَا حَسَنَةٌ.

যখন কোনো মুসলিমের চুল বা দাড়ি পাকে তখন আল্লাহ এর বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, একটি গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি নেকী লেখা হয়।

-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৯৩৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪২০২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *