তাহলে আল্লাহ কোথায়?

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. পাহাড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে এক রাখালের সাথে দেখা। তার কাছে ছিল বকরির বিরাট পাল। ইবনে উমর রা.-এর মনে তাকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা জাগল।
প্রস্তাব করলেন, এখান থেকে আমার কাছে একটা বকরি বিক্রি করে দাও! রাখাল বলল, আমি তো এগুলোর মালিক নই; আমি কেবল এগুলোর পাহারাদার।
ইবনে উমর রা. তাকে বুদ্ধি দিলেন, তুমি আমার কাছে বিক্রি করে মালিককে গিয়ে বলবে, একটা বকরি নেকড়ে খেয়ে ফেলেছে। সুবহানাল্লাহ, ঈমানদীপ্ত কণ্ঠে রাখাল যা বললেন, হৃদয়ে ঝাঁকুনি সৃষ্টি করার মতো। বাক্যটি ছিল-
فَأَيْنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ؟
তাহলে আল্লাহ কোথায়?! (অর্থাৎ, মিথ্যা বলে যদিও মালিকের চোখ ফাঁকি দিতে পারব, কিন্তু আসল মালিক আমার আল্লাহ্কে কীভাবে ফাঁকি দিব?)
ইবনে উমর রা. হতভম্ব হয়ে গেলেন। ‘ফাআইনাল্লাহ’ ‘ফাআইনাল্লাহ’ বলে কান্না শুরু করলেন। তারপর ওই রাখাল ক্রীতদাসকে কিনে মুক্ত করে দিলেন। -তারিখু দিমাশক, ইবনে আসাকির ২৭/৩৮৫; তারীখুল ইসলাম, যাহাবী, ২/৮৪৩
সত্য কথা হল, হৃদয়ে যখন আল্লাহর ভালবাসা ও পরকালের জবাবদিহির ভয় জাগরূক থাকবে, তখন কারো দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। অন্যায়ভাবে কারো হক নষ্ট বা দখল হবে না।
Leave a Reply