তাকওয়া ও খোদাভীতির গল্প-০১

তাকওয়া ও খোদাভীতির গল্প

দারুল উলূম দেওবন্দের নাম কে না জানে! শেষ যামানায় উম্মতের জন্য এক বিরাট রহমত এ প্রতিষ্ঠান।

এ প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছে অনেক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, যাদের পরিশীলিত জীবন যেন সাহাবায়ে কেরামের জীবনেরই জীবন্ত নমুনা।

মুফতী শফী রাহ. বলেন, যাঁরা দারুল উলূম দেওবন্দের প্রথম দিককার উস্তায ছিলেন, তাঁরা ছিলেন নিঃস্বার্থ আমানতদার মানব। দারুল উলূমের ব্যস্ত সময়ে যদি তাঁদের কাছে কোনো মেহমান আসত, তাঁরা মেহমানের জন্য ব্যয়িত সময়টি নোট করে রাখতেন।

গোটা মাস এভাবেই করতেন। মাসের শেষে তাঁরা এ বলে দরখাস্ত দিতেন যে, অমুক দিন অমুক সময় আমি ব্যক্তিগত কাজে দারুল উলূমের সময় নষ্ট করেছি। তাই আমার বেতন থেকে ওই পরিমাণে বেতন কেটে নেয়া হোক। -ইসলাহী খুতুবাত ৬/৮৮

সুবহানাল্লাহ, কেবল ইসলামের মধ্যেই রয়েছে এমন অনুভূতি জাগ্রত করবার শক্তি! কাজেই আইন-আদালত, নিয়ম-কানুন যতই সাজানো হোক, যতই ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক করা হোক, নিরাপত্তাবাহিনী বা সিসি ক্যামরা যতই বসানো হোক, বলার আর অপেক্ষা রাখে না, তাকওয়া ও ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই।

এই শিক্ষা ও অনুশীলনকে ব্যাপক করতেই হবে। সুতরাং সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার বিলুপ্তি বা কাটছাট নয়; দেশের সকল বিভাগের সকল স্তরেই ইসলামী শিক্ষার অনুশীলন ও চর্চা ব্যাপক করা চাই।

আসুন, তাকওয়া ও খোদাভীতির চর্চা করি! সততা ও আমানতদারির পাঠ গ্রহণ করি! ব্যক্তি ও পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ, সর্বত্র আল্লাহর ভয় এবং ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক অনুশীলন করি। তবেই আমরা লাভ করতে পারব একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *