অন্যায়ের বিপরীতে অন্যায় নয় ইনসাফ অবলম্বন করো

দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা কারণে একে-অপরের প্রতি অসন্তুষ্ট হই। অসন্তুষ্টির মাত্রা বেড়ে কখনো ক্ষোভ, আক্রোশ ও বিদ্বেষের পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এই অসন্তোষ, ক্ষোভ বা বিদ্বেষ যদি সঙ্গত কারণে হয়ে থাকে; যেমন বাস্তবেই যদি আমার প্রতি অন্যায় ও অবিচার হয়ে থাকে তাহলে অসন্তুষ্ট হওয়ার অধিকার আমার আছে, কিন্তু কুরআন কারীম আমাদের শিক্ষা দেয় যে, সেই অসন্তোষ প্রকাশের ক্ষেত্রেও শরয়ী সীমারেখার প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি।
কোনো অবস্থাতেই শরয়ী সীমারেখা লঙ্ঘন করা জায়েয নয়।
আর যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের পেছনে শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ নেই, যার নেপথ্য কারণ কেবলই ব্যক্তিস্বার্থ, অকারণ হিংসা-বিদ্বেষ, ধনলিপ্সা, পদলিপ্সা, আত্মম্ভরিতা বা এজাতীয় কিছু তা স্পষ্ট হারাম। এর সাথে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনের মতো বিষয় যোগ হলে তা আরও জঘন্য গুনাহ।
সুতরাং কারো প্রতি মনে অসন্তোষ বা ক্ষোভ থাকলে তার নেপথ্য কারণ যাচাই করা জরুরি, কেন তার প্রতি আমি বিরাগ? এই অসন্তোষ কি শরীয়ত অনুমোদন করে, নাকি আমি প্রবৃত্তিপূজার শিকার? মনে রাখতে হবে, স্বীকৃত কারণ ছাড়া কারো প্রতি ক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলা ফরয।
আর যেমনটি পূর্বে বলা হয়েছে, স্বীকৃত কারণে ক্ষোভ জন্মে থাকলে তার প্রকাশও নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি। কুরআন আমাদেরকে সর্বাবস্থায় ন্যায় ও ইনসাফ অবলম্বনের শিক্ষা দেয়।
Leave a Reply