প্রচলিত উকিল বাবা, সমাজের বিষফোঁড়া

কোন কোন এলাকায় বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেয়ের কাছ থেকে বিয়ের অনুমতি (ইযন) আনার জন্য একজন লোক ঠিক করা হয়, যে মেয়ের বাপ ভাই ব্যতীত অন্য কেউ হয়।
এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় গায়রে মাহরাম ব্যক্তিকেই ঠিক করা হয়।
ব্যক্তিকে বলা হয় উকিল বাবা।
এ ব্যক্তি মেয়ে থেকে বিয়ের অনুমতি এনে বিবাহের মজলিসে মেয়ের পক্ষে ওকালতি করে। এ ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে বাপের মর্যাদায় ভূষিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের হাদিয়া-তোহফায় অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি মেয়ের মাহরামদের মত গণ্য হয় এবং তার সাথে কোন ধরনের পর্দার প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হয়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, উকিল বাবার সাথে বর-কনে দুপক্ষেরই দুজন করে সাক্ষী যায় এবং মেয়ের কাছ থেকে অনুমতি আনার সময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকে! এ সাক্ষী থাকাকেও জরুরি মনে করা হয় ৷
এটা একটা ভুল প্রথা।
এ প্রথার মাঝে অনেক ভুল ও গর্হিত কাজের সমাহার ঘটে। প্রথমত, ইসলামী বিবাহে বিনা প্রয়োজনে মেয়ের মাহরাম থাকা সত্ত্বেও কোন গায়রে মাহরাম ব্যক্তিকে উকিল হিসেবে মেয়ের কাছ থেকে বিবাহের অনুমতি আনার জন্য নির্ধারণ করার কোন বিধান নেই।
দ্বিতীয়ত, ধারণাভিত্তিক একটি প্রচলনের উপর ভিত্তি করে একজন গায়রে মাহরাম ব্যক্তিকে মাহরামের স্থলাভিষিক্ত করা এবং তাকে বাপের মত মনে করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই।
এসব পরিহার করা জরুরি। তৃতীয়ত, মেয়ের কাছ থেকে বিয়ের অনুমতি আনার সময় দুজন সাক্ষী উপস্থিত থাকা জরুরি এ কথাও ঠিক নয়। শুধু একজন তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিলেই হয়। সাক্ষী উপস্থিত থাকার বিষয়টি আকদের ক্ষেত্রে জরুরি, অনুমতি আনার ক্ষেত্রে নয়।
– মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ
Leave a Reply