স্ত্রীকে অনলাইনে প্রদর্শন করা বা পর্দার সাথে স্ত্রীদের প্রদর্শন কি ঠিক?

স্ত্রীকে অনলাইনে প্রদর্শন করা

স্ত্রীকে অনলাইনে প্রদর্শন করা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বীনদাররা করে পর্দার সাথে; অন্যরা করে বেপর্দাভাবে। সন্দেহ নেই—পর্দার সহিতও গাইরে মাহরামের সামনে অযথা স্ত্রীকে প্রদর্শন করা গাইরতের খেলাফ।

হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু একদিন স্ত্রী ফাতেমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বলো তো ফাতেমা, একজন স্ত্রীর জন্য কোন জিনিস উত্তম? ফাতেমা জবাব দিলেন, সে পুরুষদেরকে দেখবে না; এবং পুরুষরা তাকে দেখবে না।

আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু খুব রাগ করে পুরুষদের বলতেন, তোমাদের লজ্জা করে না? তোমাদের মধ্যে গাইরত জাগে না? তোমরা স্ত্রীদেরকে ছেড়ে দাও; তারা পুরুষদের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। তারা পুরুষদের দেখতে থাকে; পুরুষরাও তাদেরকে দেখতে থাকে![আল-কাবাইর পৃ. ১৭৬-১৭৭, যাহাবি, দারুন নদওয়া, বৈরুত]

বলাবাহুল্য, আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু যখন এই কথা বলেছেন, তখন পর্দাহীনতার সাথে নারীরা বের হতো না। শতভাগ পর্দা রক্ষা করেই বের হতো। এবং, অপ্রয়োজনে বের হতো না। তবুও, মাহরামবিহীন একজন নারীর বাইরে বের হওয়াকে তিনি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু হিসেবে দেখেছেন। এমন পুরুষদের গাইরত জাগানোর জন্য ভর্ৎসনা করেছেন।

স্ত্রীকে পর্দার সহিত একাকী বাইরে যেতে দেওয়া যেমন গাইরতহীনতা; স্বেচ্ছায় অনলাইনে প্রদর্শন করাও গাইরতহীনতা।

-শায়খ মাহমুদ সিদ্দিকী হাফি.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *