রাসুল (সা.) এর জন্মের সময় যে অলৌকিক ঘটনাগুলো ঘটেছিলো

বিশ্বনবী (সা.) এর জন্মের প্রাক্কালে ও জন্মের পরে সংঘটিত কিছু অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলো;
১. ইমাম সাদিক্ব (রা.) বলেছেন, শয়তান বা ইবলিস অতীতে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেতে পারত। অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেত। কিন্তু হজরত ঈসা (আ.) এর জন্মের পর থেকে চতুর্থ আকাশের ওপরে ওঠা তার জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এরপর যখন বিশ্বনবী (সা.) জন্ম নেন তখন তার জন্য সব আকাশই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শয়তানকে আকাশের দরজাগুলো থেকে ধূমকেতু দিয়ে বিতাড়ন করা হয়।
২. যে ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।
৩. সেদিন পারস্যের রাজার বিশাল প্রাসাদের বারান্দা কেঁপে ওঠে এবং ছাদের ১৪টি প্রাচীর ধ্বসে পড়ে।
৪. সেদিন পারস্যের সভে অঞ্চলের হ্রদটি তলিয়ে শুকিয়ে যায়। বহু বছর ধরে এই হ্রদকে পূজা করা হত।
৫. সামাভে অঞ্চলে ( কুফা ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী) পানির প্রবাহ শুরু হয়। অথচ এর আগে বহু বছর ধরে সেখানে কেউ পানি দেখেনি।
৬. পারস্যের শিরাজ শহর সংলগ্ন অগ্নি উপাসনালয়ের আগুন সেই রাতে নিভে যায়। অথচ ওই আগুন এক হাজার বছর পর্যন্ত প্রজ্বলিত ছিল।
৭. সেই রাতে হিজাজ বা বর্তমান সৌদি আরব থেকে একটি আলো দৃশ্যমান হয় এবং তা পূর্বাঞ্চলসহ সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমার পুত্র জন্ম নিয়েই তাঁর হাতগুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তার থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। সেই আলোয় সিরিয়ার (রোমানদের) প্রাসাদগুলো দেখলাম এবং সেই আলোর মধ্যে একটি শব্দ শুনলাম, যাতে বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে জন্ম দিয়েছ, তাই তাঁর নাম রাখ ‘মুহাম্মাদ’।
আমিরুল মু’মিনিনি হজরত আলী (রা.) বলেছেন, সে রাতে তথা রাসুলে খোদার (সা.) এর জন্মের রাতে পুরো দুনিয়া আলোকিত হয়। প্রতিটি পাথর ও মাটির টুকরো এবং বৃক্ষ বা গাছ হেসেছে। আর আকাশ ও জমিনের সব কিছু আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা জ্ঞাপন করেছে।
Leave a Reply